সরকারি বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে !দামুড়হুদায় অবৈধ ইটের ভাটা চালু রাখার দাবিতে মালিক-শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান


manobota television প্রকাশের সময় : মার্চ ৪, ২০২৫, ৯:৫৩ অপরাহ্ন / ২৮
সরকারি বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে !দামুড়হুদায় অবৈধ ইটের ভাটা চালু রাখার দাবিতে মালিক-শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান


সরকারি বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে গিয়ে দামুড়হুদায় অবৈধ ইটের ভাটা চলমান রাখা ও আই পরিবর্তনের দাবিতে মালিক- শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ইট ভাটা মালিক সমিতি কর্তৃক পূর্ব ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা সাড়ে ১১ টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা ইট ভাটা মালিক সমিতির উদ্যোগে দামুড়হুদায় এই কর্মসূচি পালিত হয়।ইটের ভাটায় অভিযান ও হয়রানি বন্ধসহ ভাটাগুলো চালানো ও সংশোধিত আইন পরিবর্তনের দাবিতে শ্রমিকরা বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। ইট ভাটা মালিক শ্রমিকদের প্রদানকৃত স্মারকলিপি গ্রহণ করেন-
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ মহল।

আজ সকাল ১০ টার থেকে উল্লেখিত কর্মসূচী সফল করতে উপজেলার সকল ইটের ভাটা মালিক শ্রমিক শত শত ট্রাক্টর যোগে দামুড়হুদা স্টেডিয়াম মাঠে জড়ো হতে থাকেন।পরবর্তীতপ বেলা সাড়ে ১১ টায় প্রায় দেড় হাজার ইট ভাটা শ্রমিক ও মালিকদের উপস্থিততে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমবেত হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে সামনে অবস্থান নেন।এসময় বক্তব্য রাখেন,চুয়াডাঙ্গা জেলা ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি নাসির উদ্দীন শান্তি,সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন টিটু,সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন মিয়া,নির্বাহী সদস্য,আব্দুল মালেক,হাজি.আব্দুল কাদির প্রমুখ।

উপস্থিত বক্তারা বলেন,সারা দেশের এসকল ইটের ভাটা বন্ধ হলে,এখানে কর্মরত লাখ লাখ শ্রমিক বেকারত্ব সমস্যায় পড়েবেন,ফলে কাজ না পেয়ে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকবে।পাশাপাশি ইটভাটাগুলো বন্ধ হয়ে গেলে বড় ধরনের অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে পড়ে ভাটার মালিকরা দেউলিয়া হয়ে যাবেন,শ্রমিকদের জীবন- জীবিকার ব্যাহত হয়ে পড়বে বলেও জানান তাঁরা।তাদের দাবি উপজেলার এক একটি ইট ভাটায় প্রায় ২’শ থেকে ৫’শ শ্রমিক কাজ করে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।এমন সময়ে হঠাৎ ইটভাটা বন্ধ করলে শ্রমিকরা যেমন কর্ম হারাবেন,তেমনি ভাবে সকল ভাটার মালিকগণ অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে পড়বেন। একই সময় অন্যান্য ইট ভাটা মালিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,জগন্নাথ বসূ বরুন,আমজাদ হোসেন,শরিফ উদ্দিন,জাহাঙ্গীর আলম টিক্কা,শামসুল ইসলাম,আবুল হোসেনসহ উপজেলার বিভিন্ন ভাটার প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক।

উল্লেখ্য,চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট ৮৬ টি ইটের ভাটা রয়েছেন।সেগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ ইটের ভাটা অবৈধ ভাবে যুগের পর যুগ অদৃশ্য কারণে চলে আসলেও।বর্তমান সরকার অবৈধ ইটের ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।জেলার চার উপজেলার
মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভাটা রয়েছে দামুড়হুদা উপজেলায়।এখানে সর্বমোট ৩২ টি ভাটার মধ্যে বর্তমান ২৭ টি ভাটা চলমান রয়েছেন,যার বেশির ভাগই অবৈধ বলে জানা যায়।