দামুড়হুদা প্রতিনিধিঃ জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে ন্যায় বিচার পেতে দামুড়হুদা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টার সময় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ড্রাইভার সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মাঝের পাড়ার মৃত সেলিম উদ্দিন এর ছেলে মোঃ রফিক উদ্দিন (৫৪)। এসময় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা থানার অন্তর্গত শ্যামপুর গ্রামের মৃত মোবারক মল্লিকের ছেলে মোঃ বরকত মল্লিক (৫৪) সহ নিকট আত্নীয় স্বজন।
সংবাদ সম্মেলনে মো: রফিক উদ্দিন বলেন, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত দর্শনার শ্যামপুর গ্রামের মৃত মনো মল্লিক এর ছেলে মোঃ মালেক (৫৫), একই গ্রামের মুনছুর মল্লিক এর ছেলে মোঃ মিন্টু (৩৬), মোঃ মালেক এর ছেলে মোঃ সুমন মল্লিক (৩৭), আকতার মল্লিক এর ছেলে মোঃ হযরত মল্লিক (২৮) ও দর্শনার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের (ঘরজামাই, খবিরের বোনাই) মৃত ছিতাব মল্লিক এর ছেলে মোঃ আব্বাস (৫১) সহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন অস্ত্রধারী সংঘবদ্ধ দুবৃত্তকারী ব্যক্তিবর্গ গণের সহিত আমাদের দীর্ঘদিন যাবৎ দর্শনা থানাধীন ৭৭নং আজিমপুর মৌজায় ৩৮.৫০ শতক জমির মধ্যে অর্ধেকাংশ জমি উক্ত বিবাদীগন সহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন জোরপূর্বক বাঁশ ও সিমেন্টের খুটি দিয়ে ঘিরে নিজের মতো করে সীমানা নির্ধারণ করেছে।
উক্ত জমি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। ঐ জমি বিগত অনুমান ৪৪ বছর পূর্বে বাদীর শ্বাশুড়ী মোছাঃ পারুল খাতুন জমি ক্রয় করে তার নিজ নামে খারিজ পর্চা ও হোল্ডিং খুলেছে। অতঃপর বিগত অনুমান ১২ বছর পূর্বে বাদীর শ্বাশুড়ী তাহার দুই কন্যাকে রেজিষ্ট্রি দলিল করে দেয়। এছাড়াও ২নং বাদীর পিতা মৃত মোবারক মল্লিক ও চাচা মৃত গুলজার মল্লিক ওয়ারীশ সূত্রে প্রাপ্ত ও কিছু অংশ ক্রয় করে বিগত অনুমান ৪৭ বছর পূর্বে দর্শনা থানাধীন ৭৭নং আজিমপুর মৌজায় ১৯২.৫০ শতক জমি ভোগদখল করে আসছি। উক্ত জমি-জায়গার বিষয়াদি নিয়ে বিবাদীগনের মাধ্যমে ও নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন প্রকারের গালি গালাজ ও খুন-জখমের হুমকি প্রদান করে আসছে। ১নং বিবাদী একজন ইউএনও স্যারের ড্রাইভার হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে ১নং বিবাদী ও তাহার ছেলে আমাদেরকে হুমকি প্রদান করে যে, তোদেরকে যে কোন সময়ে খুন করে ফেলবো পুলিশ বা প্রশাসন আমাদের কোন কিছুই করতে পারবে না। এছাড়াও ১নং বিবাদী বলে যে, আমার নাম নেওয়ার আগে ৭ বার ওযু করে আসবি। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ইং ২৪/০৩/২০২৫ তারিখ বেলা অনুমান ১১টার সময় দর্শনা থানাধীন রামনগর কাছারিতে দাড়িয়ে
আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে, তখন আমরা গালি গালাজ করতে নিষেধ করিলে ১নং বিবাদী সহ অন্যান্য বিবাদীগণ বলে যে, তোদের মতো মানুষ এখানে মেরে লাশ মাটিতে পুতে ফেলবো। তোদের মতো মানুষ মেরে ফেললে আমাদের কেউ কিছুই করতে পারবি না। তোদের মেরে না হয় ২-৪ দিন জেল খাটতে হবে এর বেশি আর কী হবে। এছাড়াও আরও বিভিন্ন প্রকার হুমকি প্রদান করতে থাকে। এমতবস্থায় আমরা বাদী পক্ষদ্বয় প্রশাসনের ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানিয়ে বিষয়টি দামুড়হুদা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক বৃন্দের দৃষ্টি গোচর করছি। ন্যায় বিচার পেতে আপনাদের মাধ্যমে আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। বিষয়টি এলাকার মহল্লাবাসী সহ সকলেই অবহিত আছে।
আপনার মতামত লিখুন :